রোবট আইনজীবী যদি হয় রোবট তাহলে কেমন হবে

প্রতিনিয়ত  আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ  অসাধ্য সাধন করে চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন রোবট। মানুষের বিকল্প কর্মিবাহিনী হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠানে রোবট ব্যবহারের কথাও আগেই জানা গেছে। তবে আইনজীবী হিসেবে রোবটের ব্যবহার হয়তো সত্যি অবিশ্বাস্য শোনাবে। কিন্তু আগামী বিশ্বে তেমনটাই ঘটতে যাচ্ছে।

 কারণ, আইনি কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গতকাল  যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনি সহায়তার জন্য ব্যবহারের জন্য ব্রিটিশ-আমেরিকান তরুণ উদ্যোক্তা জশুয়া ব্রাওডার একটি অসাধারন অ্যাপ তৈরি করেছেন। ‘ডু নট প্লে’ নামের অ্যাপটিকে বিশ্বের প্রথম ‘রোবট আইনজীবী’ হিসেবে দাবি করেছেন জশুয়া। মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে অ্যাপটি দারুণ কার্যকর বলেও জানিয়েছেন জশুয়া। সফটওয়্যারের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

অ্যাপটির নির্মাতা জশুয়া বলেছেন, চ্যাটবুটে মানুষ নিজের মতো করে বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন। সেই অনুযায়ী মেশিন লার্নিং মডেলের এই সফটওয়্যার আইনগতভাবে সঠিক পন্থা অনুসরণ করে রাই দেয়।

২৪ বছর বয়সী জশুয়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সিলিকন ভ্যালির বাসিন্দা। সেখানে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। কিন্তু তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, ২০১৫ সালে। ব্রাওডারের বয়স ছিল ওই সময়  মাত্র ১৮ বছর। এরপর তিনি সিলিকন ভ্যালিতে পাড়ি জমান।

অ্যাপটি দারুণ সাড়াও ফেলেছে । অর্থ দিয়ে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে   দেড় লাখের ওপরে। তবে কিছু মানুষের অভিযোগ, অ্যাপটির আইনগত উপদেশ পুরোপুরি সঠিক হয় না। তবে ব্রাওডার দাবি করেছেন, সামগ্রিকভাবে অ্যাপটির সাফল্যের হার ৮০ শতাংশ।

অ্যাপটি কীভাবে কাজ করে, তার একটি বর্ণনা দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ধরুন, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আপনাকে অর্থ জরিমানা করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আপনি সেই জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করতে চাচ্ছেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি  আপনার সমস্যার কথা বলুন অ্যাপটির চ্যাটবুটে। এরপর আইনি মোকাবিলায় আপনার করণীয়, আপিল আবেদনের সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আপনাকে পরামর্শ দেবে অ্যাপটি।